আজ মহান বিজয় দিবস’১৪ যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। লামা উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী বিজয় দিবসের নানামুখি কার্যক্রম উদযাপিত হয়েছে। গতকাল ১৫ ডিসেম্বর বিকালে মিনি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিজয় দিবস উদযাপন কর্মসূচিতে শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে সৃজনশীলতা বিকাশে অনন্য ভুমিকা পালনকারী উদ্যোগ নেয় উযপজেলা প্রশাসন।
রাত ১২.০১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের শুভ সুচনা করা হয়। উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব থোয়াইনু অং চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম সামসুন নাহার সুমি মহোদয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষথেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় শিক্ত হয় স্মৃতি সৌধের বেদীমুল। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারী/আধাসরকারী/বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই সাথে উপজেলাস্থ মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ভিডিপি, রোভার স্কাউট, বয় স্কাউটস, গার্লস গাইডস এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের মনোজ্ঞ কুচাকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্ট পরিচালিত হয়। এতে সেরা বিজয়ীদের মাঠে প্রুরষ্কার প্রদান করে উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধির পথে ধাবিত হতে অনুপ্রাণিত করা হয়। পাশাপাশি মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠানের আওতায় বিভিন্ন ইভেন্ট এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিজয়ের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করার সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা ও বিজয় দিবসে সুখী, সমৃদ্ধ ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রযুক্তির সার্বজনীন তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা্ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিবসে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, ও কেয়াং এ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস