Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভৌগোলিক পরিচিতি

লামা উপজেলা ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও নদী বেষ্টিত হওয়ায় দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলার চেয়ে পুরোপুরি বৈচিত্র্যময় বলা চলে। উপজেলার দক্ষণে- আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে- কক্সবাজারের রামু ও চকরিয়া এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা, উত্তরে- বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়ন, পূর্বে- বান্দরবানের থানছি ও রম্নমা উপজেলা।

 

৬৭১.৮৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে নদী এলাকা ৭৮.১৭৩ বর্গ কিলোমিটার, সংরক্ষিত বনভূমি ৩৩২.৮২৭ বর্গ কিলোমিটার ও চাষাবাদযোগ্য ভূমির আয়তন ২৬০.৮৪৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে যার অধিকাংশই আবাদ করে গড়ে উঠেছে বসতি। উপজেলাটি ২১.৩৬ হতে ২১.৫৯ উত্তর আংশ এবং ৯২.০৪ হতে ৯২.২৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ও সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২৯.৮৭ মিটার উপরে অবস্থিত। এখানকার পাহাড় সমুহের উচ্চতা ২ শ’ থেকে ৩ শ’ মিটার। এক সময়ের দুর্গম পাহাড়ি লামা বর্তমানে কোলাহলপূর্ণ বিকাশমান পর্যটন শহর। এখানের অপরম্নপ প্রাকৃতিক শোভা, বয়ে চলা পাহাড়ী আঁকা-বাঁকা মাতামুহুরী নদী, দুঃখি ও সম্মুখ পাহাড়ের উঁচু চুড়া, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থমান হিসেবে পরিচিত সাবেক বিলছড়ি মহামুনি বৌদ্ধ বিহার ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ইত্যাদি দেশ-বিদেশের ভ্রমন বিলাসী পর্যটকদের সহজে আকৃষ্ট করে। তাছাড়া এ উপজেলায় বসবাসরত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির রয়েছে আলাদা ভাষা ও সংস্কৃতি। এদের অনেক রীতিনীতি কৃষি, সামাজিক জীবনাচার ও গৌরবময় সাংস্কতিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে মহিমান্বিত এবং বৈচিত্র্যময় করেছে।

 

২০১১ সালের আদমশুমারীর তথ্যমতে, উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪১৩ জন। তম্মধ্যে পুরম্নষ ৫৮ হাজার ৯০৪ জন, মহিলা ৫৪ হাজার ৫০৯ জন। আর পরিবার ২২ হাজার ৪৪৭টি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪৮২জন। এর মধ্যে পুরম্নষ ভোটারের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৭০ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ২৮ হাজার ৪৭২ জন।পার্বত্যাঞ্চলে ১৩টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতিয় জনগোষ্টীর বসবাস থাকলেও এ উপজেলায় এদের মধ্যে ৬ টি জনগোষ্ঠির বাস। এদের মধ্যে ১৪ হাজার ৪৮৫জন মার্মা, ৫হাজার ১৯২জন ত্রিপুরা, ৮ হাজার ৭৭০জন মুরম্নং, ৭৮জন চাকমা,  ১২৯জন তংচংগ্যা ও ২২১ জন খেয়াং সম্প্রদায় বসবাস করেন। তবে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বেশীর ভাগই খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহন করেছেন। এর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ মাইলে ২৪৯ জন। উপজেলার শতকরা ৬৩.২৭ পরিবার কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। শতকরা ৫.৮৪ ভাগ লোক পশুপালন ও মৎস্য শিকার কাজে নিয়োজিত। শতকরা ১৫.৫৪ ভাগ কৃষি কাজের মুজুর। অন্যান্য কাজে দিনমুজুর ৭.২৮ ভাগ। ব্যবসায়ী ৮.২৩ ভাগ এবং চাকুরীজীবি ৮.২৩ ভাগ। এ ছাড়াও উলেস্নখযোগ্য মানুষ স্থানীয় বনাঞ্চলের উপর নির্ভরশীল। বন হতে গাছ, বাঁশ ও পাহাড়ের ঝিরির পাথর এবং পাহাড়ী ছড়ার বালি সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানের বেশিরভাগ মানুষ। উপজেলায় খাদ্যের চাহিদা রয়েছে ১৫১৬১.০০ মে.টন। উৎপাদন হয় ১৪১০৫.০০ মে.টন।